যশ ঘূর্ণিঝড় এর কবলে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ কিছু জেলার মানুষের। বিপর্যস্ত এলাকার বাসিন্দাদের দুয়ারে ত্রাণ পৌঁছে দেবে সরকার এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যশ ক্ষতিপূরণ এর তাঁর সরকার ১ হাজার কোটি টাকা (yass relief fund) বরাদ্দ করেছে।
বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী ১৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে রাজ্যে।
এই পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। সেটা আগামী কয়েক দিনে স্পষ্ট হবে।
কবে থেকে শুরু হবে দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্প যশ ক্ষতিপূরণ এর জন্য।
আগামী ৩ জুন থেকে ‘দুয়ারে ত্রাণ’ প্রকল্প শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মমতা। চলবে ১৮ জুন পর্যন্ত।
কতদিন আবেদন পত্র নেওয়ার কাজ চলবে ?
যশ ক্ষতিপূরণ প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ আবেদন পত্র জমা নেওয়ার কাজ চলবে ১৮ জুন পর্যন্ত।
কবে থেকে টাকা কিভাবে পাওয়া যাবে ?
টাকা পাওয়া যাবে ব্যাঙ্ক একাউন্ট এর মাধ্যমে। ১ জুলাই থেকে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ক্ষতিপূরণের টাকা পৌঁছে যাবে
দুয়ারে ত্রাণ সহায়তার জন্য কোথায় আবেদন হবে?
সরকারের দুয়ারে ত্রাণ ক্যাম্প এ গিয়েও আবেদন পত্র সংগ্রহ করে , সেখানেই আবেদন পত্র জমা করতে হবে। You will get duare tran application form from “DUARE TRAN” camp.
যশ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতি হলে কত টাকা ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে ?
যশ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতি হলে ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে।
তবে এই টাকার পরিমান আপনার ক্ষতির উপর নির্ভর করছে।
নিম্নে পূর্ণাঙ্গ লিস্ট দেওয়া হলো কি ক্ষতির জন্য কত টাকা পাওয়া যাবে।
দুয়ারে ত্রাণ আবেদন করার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগবে ?
- আবেদন পত্র
- ভোটার কার্ড
- আধার কার্ড
- ব্যাঙ্ক একাউন্ট
- পাসপোর্ট সাইজ ছবি
- কৃষক বন্ধু কার্ড
- জব কার্ড
- কারিগরি /শিল্পী কার্ড
- মৎস্যজীবী হিসেবে কার্ড
কি কি ক্ষতির ক্ষেত্রে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে ?
১) ফসল নষ্টের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন কৃষকরা। সর্বোচ্চ আড়াই হাজার।
২) ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে যাঁদের ঘরবাড়ি ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে, তাঁদের পরিবার পিছু ২০ হাজার টাকা করে দেবে সরকার।
আরও পড়ুন : দুয়ারে রেশন,মহিলাদের ৫০০ টাকা এবং ১০০০ টাকা হাত খরচ, পড়ুয়াদের ঋণ এবং নিয়ে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতার।
ঘরবাড়ি আংশিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে, পরিবার পিছু ৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে।
৩) ঘূর্ণিঝড়ে গবাদি পশু মারা গিয়ে থাকলে, প্রত্যেক গরু এবং মহিষ পিছু ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে, যাতে ওই টাকায় ফের গবাদি পশু কেনা যায়।
৪) ভেড়া, ছাগল এবং শুয়োর মারা গিয়ে থাকলে নতুন কেনার জন্য ৩ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
৫) ক্ষেতে চাষের কাজে বা মালপত্র বহনের কাজে ব্যবহৃত ষাঁড় দুর্যোগে মারা গিয়ে থাকলে এক একটির জন্য ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে।
৬) বাছুর মারা গিয়ে থাকলে ১৬ হাজার টাকা করে মিলবে।
৭) আয়তনে যাই হোক না কেন, দুর্যোগে পানের বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকলে ৫ হাজার টাকা করে পাবেন কৃষকরা।
আরও পড়ুন : বিনামূল্যে পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের জন্য বাংলা শস্য বীমা যোজনা
৮) মৎস্যচাষীরা নতুন করে হাঁড়ি কেনার জন্য ৩০০ টাকা করে পাবেন।
মাছ ধরার জাল কিনতে ২ হাজার ৬০০ টাকা করেও পাবেন তাঁরা।ঝড়ের দাপটে নৌকো সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রতি নৌকার জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
নৌকা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হলে ৫ হাজার টাকা করে পাবেন তাঁরা।
৯) হস্তশিল্পীদের যন্ত্রপাতি কিনতে মাথা পিছু ৪ হাজার ১০০ টাকা করে দেবে রাজ্য সরকার।
কাঁচামাল কিনতেও মাথা পিছু ৪ হাজার ১০০ টাকা করে পাবেন তাঁরা। গুদামঘর, দোকান বা জিনিসপত্র মজুত রাখার জায়গা ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলে ‘ইউনিট’ প্রতি ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
দুয়ারে ত্রাণের টাকা এখনো পর্যন্ত পেলাম না কেন কবে থেকে ওই টাকা একাউন্টে ঢুকবে